মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার পানিধার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পানিধার বাজারে কয়েকজন ওই নারীকে হাত বেঁধে নিয়ে যান। কেউ তাকে গালি দিচ্ছেন, কেউ বা আবার মারধর করছেন। ভয় ও আতঙ্কে ওই নারী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাকে জোরপূর্বক ছেলেধরা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
ওই নারীর স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এর আগেও তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ৯ নভেম্বর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করলে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ওই নারীর চাচা ছালেহ আহমদ জানান, তাহেরা মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় প্রায়ই নিখোঁজ হয়ে যান। গতরাতে ফেসবুকে নির্যাতনের ভিডিও দেখে থানায় যোগাযোগ করি। মারধরে বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে সে। বিকেলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাইয়ূম বলেন, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয়রা আটক করে মারধর করেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা রাতেই তাকে থানার জিম্মা থেকে নিয়ে গেছেন।