বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেছেন, পটপরিবর্তিত সরকার সহযোগিতা করে বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দিবে কিন্তু এটা কি দেখতাছি এখনো বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দেওয়া হয়নি। অনেক সাংবাদিকদের এটার সাথে রোজি রোজগারের সর্ম্পক, অনেক সাংবাদিক ভাই আছে তারা অভিজ্ঞ হয়েও চাকরী পায়নি। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় এখনো ফ্যাসিস্টরা বসে আছে, এখনো চাকরী করছে, এরা কিভাবে বিভিন্ন চ্যানেলে নেতৃত্ব দিতেছে এটা আমাদের কাছে অবাক লাগে। আমরা আপনারের সময় বেধে দিতে চাই না, তবে এটুকু বলতে চাই অবিলম্বে ফ্যাসিস্টদেরকে সরিয়ে দিন। আমাদের মিডিয়া গুলো উদ্ধার করার জন্য, আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা করনীয় তা করব।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ ও প্রেসক্লাবে যৌথ উদ্যেগে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যেবে একথা বলেন তিনি। সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর, ডিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সুমন, জামাল উদ্দিন বারী প্রমুখ।
তিনি বলেন, এরশাদও বন্দুক নিয়ে গদি রক্ষার চেষ্টা করেছিল। টিকতে পারেনি। তেমনি ফ্যাসিস্ট সরকারও টিকতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো যখন কোণঠাসা তখন সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এজন্যই ফ্যাসিস্ট সরকারের ওপর তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল।
তিনি আরো বলেন, শামীম ওসমানের মত লোক খেলা হবে বলে বলে পুরে দেশ মাথায় তুলেছিল। সেই শামীম ওসমানকে এই প্রেসক্লাব পাত্তা দেয়নি। যেই সন্ত্রাসী হোক। প্রেসক্লাবে হামলা হলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মামলা দিয়ে আপনারা টিকতে পারবেন না। আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলে আমরা ছাড় দেব না। আমরা আবারও রাজপথে নামবো।