সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হলেও ছেলেদের বয়সসীমা ৩৫ ও মেয়েদের ৩৭ করার দাবিতে সমাবেশ করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।
ঢাকার শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রোববার দুপুরে ৩০-৩৫ জন আন্দোলনকারী ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ‘লাল কার্ড’ দেখান। তারা ৩২ বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একজন ইমতিয়াজ বলেন, “চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছেলেদের জন্য ৩৫ বছর করতে ও ক্ষেত্র বিশেষে উন্মুক্ত রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানাই। কমিশন ছেলেদের ক্ষেত্রে ৩৫ আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর বয়সসীমা করার সুপারিশ করেছিল, আমরা সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন চাই।”
আরেক আন্দোলনকারী হেলাল খান বলেন, “দীর্ঘদিন যে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, সেটা ৩২ এর জন্য করিনি। আমরা ৩৫ বাস্তবায়ন চাই। আমরা ৩২ কে প্রত্যাখান করলাম।
“যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের ৩৫ দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম চলবে। তাই প্রহসনের ৩২ কে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছি।”
বিকাল ৫টার দিকে চাকরিতে বয়সসীমা ছেলেদের ৩৫ ও মেয়েদের ৩৭ বছর করার দাবিতে শাহবাগে মিছিলও করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। গত ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনে সেই দাবি, আন্দোলন জোরালো হলে সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। গত ১৮ নভেম্বর চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাদেশ জারি করেন।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। সরকারির পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে একই বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।