দুর্ঘটনায় বাবা প্রাণ হারিয়েছে তা জানে না একই বাসে থাকা মেয়ে ইয়াসমিন, থানায় বসে বাবার জন্য অপেক্ষা করছে সে।
ইয়াসমিন জানায়, শীতের ছুটিতে চট্টগ্রামের চাচার বাসায় বাবা নাসির উদ্দিনের সাথে বেড়াতে গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে বাবার সাথে হানিফ সুপার নামে একটি বাসে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা। বাবা নাসির উদ্দিনের সাথে বাসের সামনের দিকে একটি সিটেই গাদাগাদি করে বসা ছিল ইয়াসমিন, পরে বাসের পেছনের দিকে সিট খালি হওয়ায় ইয়াসমিন চলে যায় পেছনে।
এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। মাথায় আঘাত পায় ইয়াসমিন। পরে লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে মিয়াবাজার হাইওয়ে ফাঁড়িতে।
এদিকে, সকাল সাড়ে এগারোটায় দুর্ঘটনা ঘটলেও, বিকেল চারটা পর্যন্ত ইয়াসমিন জানেনা তার বাবা প্রাণ হারিয়েছে দুর্ঘটনায়। বাবার অপেক্ষায় মিয়াবাজার হাইওয়ে থানায় বিকাল পর্যন্ত বসে আছে ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন বলেন, আমার বাবা কোথায় আছে আমি জানি না। বাবার জন্য অপেক্ষা করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গাংরা এলাকায় হানিফ সুপার নামে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।