বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেন, গত জুলাই আগস্টে ১৫ দিনে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা দুই হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। ছাত্র জনতার খুনি শেখ হাসিনার চ্যাপ্টার ক্লোজ ।
আপনারা কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়েছেন, শেখ হাসিনা কুমিল্লা কে বিভাগ করেনি । কুমিল্লা নামের সাথে কু আছে তাই উনি বিভাগ করেনি। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুমিল্লা নামে বিভাগ করবেন। তিনি আরো বলেন, হাসিনা মানে সুন্দরী, কাজে সুন্দরী নয় , বিগত কয়েক বছর কি করেছেন তা মানুষ দেখেছে। শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ বলেছে বাংলাদেশের মানুষ ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়েছে ।
দুর্নীতি করে সারা দেশের সমস্ত ব্যাংকের টাকা শেষ করে দিয়েছে । দেশ থেকে ২৯ লক্ষ কোটি টাকা লুট করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। এক লক্ষ আশি হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে আপনার পরিবার। পদ্মা সেতুতে খরচ করেছেন ত্রিশ হাজার কোটি টাকা । আপনার বাপের নামে একটা স্যাটেলাইট বানিয়ে খরচ করেছেন তিন হাজার কোটি টাকা । স্যাটেলাইটের দূর্নীতি টাকা এখন মহাশূন্যে ঘুরছে।
আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের মারধর ও হাজার হাজার কর্মীদের গুম, খুন করেছেন। ইলিয়াস আলীর মত আরো শত নেতাদের গুম করে মেরে ফেলেছেন। কি জবাব দিব তাদের সন্তানদের কাছে। আপনার পিতার জন্য আপনার যেমন মায়া তাদের জন্য ও তো তাদের পরিবার আজ ও চোখের জল ফেলে। বিএনপি করার অপরাধে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক গুম করেছেন ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাওয়া দেশকে সাবধান করে বলতে চাই। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশ অন্যায়ভাবে অন্য দেশকে কাবু করতে পারে নাই। আমেরিকা পারে নাই ভিয়েতনামকে তেমনি রাশিয়া পারে নাই আফগানিস্তানকে। বাংলাদেশকেও ইনশাআল্লাহ কোন অত্যাচারী কাবু করতে পারবে না। বাঙালির দিকে আংগুল তুলবেন না। বাঙালি জানে সেই আংগুল কিভাবে ভেঙে দিতে হয়। আপনারা আমাদের দেশ থেকে যা নিয়ে গেছেন তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। আপনারা আমাদেরকে অস্ত্রের হুমকি দিচ্ছেন । জেনে রাখেন বাঙালি কোন অস্ত্রকে ভয় পায় না। বুকের ভিতর আছে৷ প্রাণ তার ভিতরে মেশিন গান। এই দেশের মানুষ কোন হুমকিতে ভয় করে না।
২০ ডিসেম্বর শুক্রবার কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল এসব কথা বলেন।
সভার শুভ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির বাবুল, ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সালেহ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসীম উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন কবির সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম খোকন,বিএনপির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, গাজীউল হাসান খান, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট ফারুক আহমেদ,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট শরিফুল ইসলাম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ ভিপি আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোস্তফা জামান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ বিএনপি ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাবেদ কাউসার সবুজ, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব আব্দুল আলীম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক স্বপন আহমেদ পাখি, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।